Ad

দীনী ব্যাপারে মতবিরোধের সীমা এবং সৌজন্যবোধ।

 

দীনী ব্যাপারে মতবিরোধের সীমা এবং সৌজন্যবোধ

 

আরবী***

  হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে কুরআন পাঠ করতে শুনলাম। এর পূর্বে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভিন্নভাবে কুরআন পড়তে শুনেছি। আমি তাঁকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে নিয়ে আসলাম এবং তাঁকে জানালাম ( এই ব্যক্তি ভিন্ন পন্থায় কুরআন পাঠ করছে )। আমি অনুভব করলাম, কথাটা তাঁর মনপুত হল না। তিনি বললেন- তোমরা উভয়ে ঠিকভাবে পাঠ করেছো। পরস্পর মতবিরোধ করো না। কেননা তোমাদের পূর্বে যেসব জাতি ধংস হয়েছে। তারা এই মতবিরোধের কারনেই ধংস হয়েছে। ----- ( সহীহ বুখারী )

 

 রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইবনে মাসউদকে বুঝালেন যে, মতবিরোধ যদি এমন পর্যায়ের হয় যে, তাতে শিক্ষা বা হুকুম পরিবর্তিত হয় না—তাহলে এধরনের মতবিরোধ সহ্য করতে হবে। যদি তা না করে তাহলে আপশে মাথা ফাটাফাটিতে লিপ্ত হয়ে পড়বে। এভাবে উম্মতের মাঝে বিচ্ছিন্নতা এবং বিপর্যয়ের দরজা খুলে যাবে। কিন্তু যেখানে দীনের মূলনীতি অথবা দীনের কোন হুকুম পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে—সেখানে মতবিরোধ না করাই বরং অপরাধ। কেননা এরূপ ক্ষেত্রে মতবিরোধ না করার অর্থ হচ্ছে--- দীনের মধ্যে তাহরিফকে ( বিকৃতি ) কবুল করে নেয়া। এটা আরেক ধরনের বিপর্যয় যার দরজা বন্ধ করে দেয়া স্বয়ং দীনের খাতিরেই প্রয়োজন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url