Ad

সাহাবাগন কতটা দায়িত্ব নিয়ে কুরআন মুখস্ত করেছেন।

 

সাহাবাগন কতটা দায়িত্ব নিয়ে কুরআন মুখস্ত করেছেন

 

আরবী***

 

 তাবেঈ হযরত আলকামা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা ( সিরিয়ার ) হেমস নগরীতে ছিলাম। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) সূরা ইউসুফ পাঠ করলেন। সেখানে উপস্থিত এক ব্যক্তি বললো- এটা এভাবে নাযিল হয় নি। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) বললেন, আল্লাহর শপথ, আমি এ সূরা স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে পড়েছি। আমার পাঠ শুনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তুমি ঠিকভাবে পড়েছ”। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) লোকটির সাথে কথা বলছিলেন, এ সময় তিনি তাঁর মুখ থেকে মদের গন্ধ পেলেন। তিনি বললেন- তুমি শরাব পান করেছো আর কুরআন শুনে তা মিথ্যা সাব্যস্ত করতে চাচ্ছ? অতএব তিনি তাঁর উপর ( মদ পানের অপরাধে ) শাস্তির দণ্ড কার্যকর করেন। --- ( বুখারী ও মুসলিম )

 

 এ হাদিসটি এখানে উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে- সাহাবাদের মধ্যে যারা লোকদের মাঝে কুরআন পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করেছেন—তারা হয় সরাসরি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখে শুনে তা মুখস্ত করেছেন, অথবা অন্যের কাছে শুনে তা মুখস্ত করে তা আবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শুনিয়েছেন। তিনি তা শোনার পর এর সমর্থন করেছেন যে, তুমি সঠিক মুখস্ত করেছো। এভাবে আমাদের কাছে কুরআন পৌঁছানোর কোন মাধ্যম এরূপ ছিলনা যে সম্পর্কে বিন্দুমাত্র সন্দেহ করার অবকাশ থাকতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url