Ad

কুরআনকে পরকালীন মুক্তির উপায় বানাও

 

কুরআনকে পরকালীন মুক্তির উপায় বানাও

 

আরবী***

 

 হযরত আবীদাহ মুলাইকী ( রাঃ ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ হে আহলে কুরআন, ( কুরআন পাঠকারীগণ) কুরআনকে কখনো বালিশ বানাবে না, বরং দিনরাত তা পাঠ করবে। যেভাবে পাঠ করলে এর হক আদায় হয়- সেভাবে পাঠ করবে। তা প্রকাশ্যভাবে এবং সুললিত কণ্ঠে পাঠ করবে। এর মধ্যে যেসব বিষয় আলোচিত হয়েছে তা নিয়ে গভীরভাবে চিনাত- ভাবনা করবে। আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে। তাঁর সওয়াব দ্রুত লাভ করার চেষ্টা করোনা। কেননা এর সওয়াব           ( আখেরাতে )  অবশ্যই পাওয়া যাবে। --( বায়হাকী )

 

বলা হয়েছে- ‘কুরআনকে বালিশে পরিনত করো না’। এর অর্থ হচ্ছে এই যে, মানুষ যেভাবে বালিশের উপর মাথা রেখে শোয়ার জন্য লম্বা হয়ে পড়ে যায়—অনুরূপভাবে কুরআনকে বালিশের বিকল্প বানিয়ে তাঁর উপর মাথা রেখে শুয়ে যেও না। বরং এর অর্থ পরবর্তী বাক্য থেকে পরিস্কার হয়ে যায়। অর্থাৎ কুরআনের প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়ো না। এরূপ অবস্থা যেন না হয় যে, নিজের কাছে কুরআন মওজুদ রয়েছে। কিন্তু নিজেই অলসতায় ডুবে রয়েছে এবং কখনো দৃষ্টি উত্তোলন করে এর প্রতি তাকায় না এবং এ থেকে পথ নির্দেশ ল্যাব করার চেষ্টাও করে না। অতঃপর বলা হয়েছে- ‘এই দুনিয়ায়ই কুরআনের সওয়াব দ্রুত লাভ করার চেষ্টা করোনা। যদিও এর সওয়াব নিশ্চিতই রয়েছে এবং অবশ্যই তা পাওয়া যাবে।’ অর্থাৎ এই দুনিয়ায় এর সওয়াব তুমি না-ও পেতে পারো বরং এর উল্টো কোথাও তুমি এর কারনে শত্রুর কঠোরতার শিকার হয়ে যেতে পারো। কিন্তু এর সওয়াব অবশ্যই রয়েছে—যা অবশ্যই আখেরাতে পাওয়া যাবে। পার্থিব জীবনেও কখনো না কখনো এর সওয়াব মিলে যেতে পারে। কিন্তু তোমরা তা পার্থিব সওয়াব লাভের জন্য পড়ো না বরং আখেরাতের সওয়াব লাভের জন্য পাঠ করো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url