Ad

কুরআন পড়ে শুনানোর পারিশ্রমিক নেয়া অবৈধ।

 

কুরআন পড়ে শুনানোর পারিশ্রমিক নেয়া অবৈধ

 

আরবী***

 

৭২। হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন ( রাঃ ) থেকে বর্ণিত। একবার তিনি এক কাহিনীকারের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে কুরআন পড়ছিল আর ভিক্ষা চাচ্ছিল। এ দেখে তিনি ইন্না লিল্লাহি অ-ইন্না ইলাইহি রাজিউন পাঠ করলেন, অতপর বললেন- আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কুরআন পড়ে তাঁর যা চাওয়ার আছে তা যেন আল্লাহ তায়ালার কাছে চায়। কেননা অচিরেই এমন একদল লোকের আবির্ভাব হবে যারা কুরআন পাঠ করবে এবং মানুষের কাছে এর বিনিময় চাইবে। ---( আহমাদ, তিরমিযি)

 

  হাদিসটির বিষয়বস্তু পরিস্কার। তবুও এখানে একটি কথা খেয়াল রাখা দরকার। কুরআন শরীফ পড়ে তাঁর বিনিময় লওয়া কিংবা নামায পড়িয়ে তাঁর পারিশ্রমিক গ্রহন করা শরিয়তের দৃষ্টিতে যদিও নেহায়েত নিষিদ্ধ কাজ এবং প্রাচীন ফিকাহবিদগণ তা নাজায়েজ হওয়ার ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন ; কিন্তু পরবর্তীকালে এমন কিছু বিষয়ের উদ্ভব হয় যার ফলে সমসাময়িক কালের ফিকাহবিদগণ লক্ষ্য করলেন যদি এই জাতীয় কোন পারিশ্রমিক গ্রহন করা চূড়ান্তভাবেই নিষিদ্ধ রাখা হয় তাহলে মসজিদ সমুহে পাঁচ ওয়াক্তের নিয়মিত আযান ও জামায়াত সহকারে নামায আদায়ের ব্যবস্থা চালু না থাকার এবং কুরআন শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিতে পারে এবং মসজিদের দেখাশুনা ও তা সজীব রাখার কাজ ব্যহত হতে পারে। এজন্য তারা একটি বিরাট কল্যাণের দিকে লক্ষ্য রেখে সিদ্ধান্ত নিলেন যেসব লোক নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে ইমামতি করার অথবা কুরআন শিক্ষা দেয়ার দায়িত্ব গ্রহন করবে তাঁদের জন্য পারিশ্রমিক নেয়া জায়েজ। তবুও নীতিগতভাবে একথা স্বস্থানে ঠিকই আছে যে, কোন আলেম যদি অন্য কোন উপায়ে নিজের সাংসারিক ব্যয়ভার বহন করার জন্য অর্থ উপার্জন করতে পারেন এবং সাথে সাথে বিনা পারিশ্রমিকে কোন নির্দিষ্ট মসজিদে নামাযের জামায়াতে নিয়মিত ইমামতি করতে সক্ষম হন তাহলে এর চেয়ে ভালো কথা আর কি হতে পারে? যে ব্যক্তি মসজিদের দরজায় বসে জুতা সেলাই করে জীবিকা অর্জন করে এবং পাঁচ ওয়াক্তের নামাযে ইমামতি করার দায়িত্ব গ্রহন করে এবং কারো কাছ থেকে একটি পারিশ্রমিক গ্রহন করেনা--- আমার মরে এই ইমাম খুবই সম্মান পাওয়ার যোগ্য। এতদসত্তেও যদি কোনভাবেই তা সম্ভব না হয় এবং সে ধরনের কোন কাজেরও সংস্থান করা না যায়, তাহলে সর্বশেষ উপায় হিসেবে ইমাম সাহেব বেতন গ্রহন করবেন। মসজিদ কমিটিও ইমাম সাহেবের বেতনের ব্যবস্থা করে মসজিদকে জীবন্ত রাখার ব্যবস্থা করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url