Ad

আদর্শের প্রচারের খেত্রে কথা বলার ধরন।

 

কথা বলার ধরন

যদি আপনি লোকের ঘৃণা কুড়াতে চান এবং এও চান যে, লোকে আপনাকে এড়িয়ে চলুক, তাহলে এর সহজ পদ্ধতি হলো এই যে, অপর কাউকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে আপনি অনর্গল বকে যেতে থাকুন অথবা যখনই কেউ কথা বলা আরম্ভ করে, সংগে সংগে আপনিও বলতে শুরু করে দিন এবং সর্বদা চেষ্টায় থাকুন যে, যখনই কথার ফাঁকে সুযোগ মিলবে নিজের বক্তব্য শ্রোতাদেরকে শুনিয়ে দিন। এমন বহু লোক দেখা যায়, যারা সর্বদা অপরের বক্তব্য শোনার চাইতে নিজের বক্তব্য শোনাবার জন্যেই বিশেষভাবে উদগ্রীব হয়ে থাকে। স্মৃতিপটে কোন কল্পনা উঁকি মারতেই কথার ফাঁকে তা ঝট করে বলে ফেলে- এত শ্রোতার উক্তির প্রতিবাদের স্থলে সমর্থনইবা হয়ে যাক না কেন, এধরনের ভাবপ্রবণদের এসবের প্রতি কোনরূপ তোয়াক্কাই থাকে না।

যে ব্যক্তি মানুষকে তার প্রতি আসক্ত করতে চায়, তার যুক্তি প্রমাণাদি দ্বারা শ্রোতার উপর প্রভাব বিস্তার করে তার চিন্তাধারার পরিবর্তনের চেষ্টা করে, এরূপ ব্যক্তি বিশেষ করে আদর্শের প্রচারকদের জন্যে প্রয়োজনঃ

১. ধৈর্য্য সহকারে অপরের বক্তব্য শোনার অভ্যাস করা।

২. শ্রোতাকেও নির্বিঘ্নে প্রাণখোলা আলোচনার সুযোগ দেওয়া।

৩. শ্রোতার বক্তব্য এবং আলোচনা থেকে  যুক্তি-তথ্য সংগ্রহ করে নিজের বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করা।

৪. শ্রোতার বক্তব্যের বিষয়-বস্তু বা আলোচনা যদি সুদীর্ঘ হয় এবং আনুপূর্বিক সকল কথা স্মরণ রাখা অসম্ভব বলে মনে হয়, তাহলে এ ক্ষেত্রে আলোচনার মাঝে মাঝে নিজের যুক্তিগুলো নোট করে নেয়া।

৫. ধৈর্যসহকারে কারো বক্তব্য শ্রবণই কেবল যথেষ্ট নয়, বরং তার জওয়াব দানকালে যথেষ্ট সংযম-সতর্কতা এবং ধৈর্যের পরিচয় দেওয়া।

ধরুন, আপনি কারো কোন মন্তব্যের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন। এতে অবশ্য তেমন বিশেষ সতর্কতার প্রয়োজন নেই। যেভাবেই আপনি সমর্থন জানান না কেন, তাতে মাপ-জোপ করে কথা না বললেও তেমন বিশেষ কিছু আসে যায় না; কিন্তু বিরাট সমস্যার ব্যাপার হবে তখন, যখন আপনি কারো উক্তির প্রতিবাদ করতে যাবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে সম্পূর্ণ হুশিয়ারীর সঙ্গে কথা বলতে হবে। সাধারণতঃ প্রতিপক্ষের কোন উক্তির প্রতিবাদে বলা হয়ে থাকে – (১) “এ সম্পর্কে আপনার কোন জ্ঞান নেই। (২) আপনি বিষয়টি বুঝেননি (৩) আপনি যা বলছেন সম্পুর্ণ অবাস্তব (৪) এ জাতীয় কথাবার্তা দ্বারা বিভেদ-বিশৃংখলা সৃষ্টি আপনার উদ্দেশ্য” ইত্যাদি।

এ ধরনের বাক্য ব্যবহারেই শ্রোতা বিরক্তি ও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। কেননা কোন মানুষই নিজেকে অজ্ঞ, মূর্খ, স্বল্পজ্ঞানী, অসাধু অথবা মিথ্যাবাদী বলে মেনে নিতে রাজি নয়। অথচ যে প্রকারেই হোক আদর্শ প্রচারের দায়িত্ব গ্রহণকারী হিসেবে আপনাকে তার চিন্তাধারার পরিবর্তন সাধন করতেই হবে, তার চিন্তার গতি আর একটি বিশেষ দিকে ফেরানোর উদ্দেশ্যে তার ওপর আপনার প্রভাব বিস্তার করা একান্ত জরুরী; এমন ক্ষেত্রেই আপনাকে পূর্ণ সতর্কতার সাথে কথা বলতে হবে। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যায় – ধরুন, আপনি এক ব্যক্তির কাছে নিজের দাওয়াত পৌঁছাতে গিয়েছেন। আপনার দাওয়াত শোনার পর সে প্রশ্ন করে বসল যে,- “আপনি আমাকে যে আদর্শের দিকে আহ্বান জানিয়েছেন, তা সত্যিই মহৎ কিন্তু এ যুগে কি এটা গ্রহণযোগ্য?” এ জাতীয় প্রশ্ন শোনার পর এমন বহু লোক আছে যারা মনে করবে যে, প্রশ্নকারীর ঈমান-আকীদায় নিশ্চয়ই ত্রুটি রয়েছে, এ কারণেই তার মুখ দিয়ে এরূপ কথা বের হয়েছে। অথবা প্রশ্নকারী সম্পর্কে বলা হবে – সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার মোটেই জ্ঞান নেই। আরো পড়াশুনা করা আবশ্যক বা তাকে বলা হবে যে কিছুই বুঝে না; তার জ্ঞানের পরিধি সীমাবদ্ধ। প্রশ্নকারীর উক্তির জবাবে উপরোক্ত মন্তব্যসমূহ তাকে আপনার নিকটে আনার পরিবর্তে আপনার থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে। আপনি তাকে বে-ঈমান বলুন বা তার ঈমানের দুর্বলতার দিকে ইঙ্গিত করুন, অথবা তার অজ্ঞতার দিকেই তার পূর্ণ দৃষ্টি আকর্ষণ করুন না কেন, প্রত্যেকটা অবস্থায়ই তার ভেতরের ‘মানুষ’টি এ ধরনের উক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এবং এ অবস্থায় আপনি তাকে কিছুই বুঝাতে সমর্থ হবেন না। মানুষ মাত্রই নিজের ধারণা-বিশ্বাস, মত-পথ এবং সিদ্ধান্তকে নির্ভুল মনে করে। যদিও এতে অহরহ পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। বিশ্বাসের পরিবর্তন হচ্ছে, সিদ্ধান্তের ব্যতিক্রম ঘটছে। চিন্তার ধারা বদলিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আপনি গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, কোন ব্যক্তির চরিত্রে স্বাভাবিকভাবে কিংবা তার ইচ্ছায় এরূপ পরিবর্তন ঘটলে তার কোনরূপ আপত্তির কারণ থাকে না। কিন্তু যখনই অপর কর্তৃক এ পরিবর্তনের চেষ্টা চলে, তখন তার মধ্যে জিদ ও গোঁড়ামীর সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে কথা বলার সময় আপনাকে এমন ভূমিকা গ্রহণে অভ্যস্ত হতে হবে, যাতে ঐ ব্যক্তি নিজের সম্বন্ধে চিন্তা করতে বাধ্য হয়। তার সম্মুখে প্রতিবাদের সুরে নয়, বরং সে চিন্তা করার জন্যে আলোচনার অপর একটা দিক তুলে ধরতে হবে। তার যে মতটির সপক্ষে সে ভুল প্রমাণ উত্থাপন করেছে, তার সরাসরি বিরোধিতা না করে বরং সংশ্লিষ্ট বিষয়টির উপর এমন একটা সূত্র ধরে আলোচনা চালাতে হবে, যার ফলে এতেই তার দ্বিধাদ্বন্দের অবসান ঘটে এবং তার চিন্তার যাবতীয় গলদ ধরা পড়ে। অবশ্য সময়, পরিবেশ এবং ব্যক্তি হিসেবে আপনার এ ভূমিকা বিভিন্নরূপ হবে। আদর্শ প্রচারের ক্ষেত্রে মনোযোগ এবং সামান্য অনুশীলনের পর অল্পদিনের মধ্যে আপনার সম্মুখে এমন আরো বহুবিধ পন্থার উদ্ভব হবে। যেমন মনে করুন, আপনি প্রশ্নকর্তা বা অনুরূপ মন্তব্যকারীকে বললেন, “আপনার মতের সমর্থনে আপনি যে সকল যুক্তি-প্রমাণাদি পেশ করেছেন, এগুলো অবশ্য ঠিকই, কিন্তু এ ব্যাপারটি আপনি অমুক দৃষ্টিকোণ থেকে একবার বিচার করুন তো তাতে হয়তো অপর একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবেন। “ এ ধরনের বহুবিধ পন্থা রয়েছে যা ব্যক্তি এবং পরিবেশের প্রতি লক্ষ্য রেখে আপনি নিজের থেকে বের করতে পারেন। এতে প্রশ্নকারী আরো বহু বিষয়ের ওপর তার চিন্তাকে আরো সম্প্রসারিত করতে পারে।

আপনি একটা বিষয় বুঝে নিয়েছেন। তার সমর্থনে আপনার নিকট যথেষ্ট যুক্তি প্রমাণও আছে। আপনি যেসব যুক্তি-প্রমাণকে এতই সুষ্ঠু এবং নির্ভরযোগ্য মনে করেন যে, আপনি চান সকলেই তা মেনে নিক। এ জন্য আপনার শ্রোতার ব্যাপারেও আপনি মনে করেন যে, তার যুক্তি খণ্ডনের ব্যাপারে এসব প্রমাণাদির পুনরালোচনাই যথেষ্ট। কিন্তু এ ব্যাপারে হয়তো আপনার অভিজ্ঞতা আছে যে, অনেক ক্ষেত্রে এ প্রচেষ্টা কার্যকরী হয় না। কেননা আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পারেন, আপনার শ্রোতার যুক্তির পেছনেও কিছু সত্যতা থাকে। তার চিন্তার বিভ্রাটের পিছনেও কিছু বাস্তব কারণ রয়েছে। তার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দেরও এতে স্থান রয়েছে, তাছাড়া পরিবেশের প্রভাবও তার মধ্যে ক্রিয়াশীল থাকা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে দূরদর্শী ও বিচক্ষণ ব্যক্তির কাজ হলোঃ

(ক) শ্রোতার চিন্তা-বিভ্রাটের সত্যিকার সূত্র খুঁজে বের করা এবং তা উপলব্ধি করা। প্রতিবাদ করতে হলে সমবেদনার সুরে করা। এক কথায় আদর্শ প্রচারের ক্ষেত্রে এমন অবস্থায় আপনার পূর্ণাঙ্গ কামিয়াবী হল এই যে, আপনার শ্রোতা যেন আপনাকে বিরোধী পক্ষ বলে ধারণা না করে, বরং সে যেন মনে করে, আপনি তারই একজন শুভাকাঙ্খী বন্ধু এবং পরামর্শদাতা। শ্রোতার দৃষ্টিভঙ্গী কি, তা হৃদয়ঙ্গম করার জন্যে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে এবং তার যুক্তিগুলো বুঝবার জন্যে প্রয়োজনবোধে একাধিকবার সেগুলোর পুনরাবৃত্তিও করতে পারেন, যাতে সে মনে করে যে, সত্যি আপনি তার কথাগুলোর প্রতি মনোযোগ দিচ্ছেন এবং তার প্রতি ভালোভাবে লক্ষ্য করছেন। সুতরাং এর পরই আপনি আশা করতে পারেন যে, এখনই তার মনের ওপর প্রভাব বিস্তারের উপযুক্ত সময়।

(খ) আলোচনা কালে শ্রোতাকে বিব্রতকর প্রশ্ন না করা। আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, আলোচনাকালে শ্রোতাকে যেন আপনি কথা প্রসঙ্গে এমন কোন প্রশ্ন না করে বসেন যাতে সে বিরক্তিবোধ করতে পারে। যেমন– আপনি তার আলোচনা থেকে অনুমান করতে পারলেন যে, সে আপনার সংগঠনের অমুক বইটি পাঠ না করার দরুন এ ধরনের ওলট-পালট কথাবার্তা বলছে। তবুও আপনি যদি তাকে প্রশ্ন করে বসেন যে, ‘জনাব,আপনি কি অমুক বইটি পাঠ করেছেন?’ পাঠ না করার স্বীকৃতি তার জ্ঞান পরিসরের সংকীর্ণতার পরোক্ষ ইঙ্গিত স্বরূপ। তাকে সর্বদা এ ধরনের প্রশ্নই করতে হবে যার উত্তরদানে সে লজ্জিত না হয়ে বরং আনন্দানুভবই করবে। কেননা এটা বাস্তব সত্য যে, কোন প্রশ্নের নির্ভুল ও অকাট্য জবাবদানে মানুষ গর্ব অনুভব করে এবং এটা তার বেশ ভালোও লাগে। তাই এ ধরনের প্রশ্ন করে আপনি তার মনের আনন্দের সঞ্চার করতে পারেন।

(গ) করো চিন্তার জগতে পরিবর্তন সাধন করতে হলে তার যাবতীয় অবস্থা সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত হওয়া। একথা ভালোভাবে মনে রাখতে হবে যে, প্রত্যেক ব্যক্তিই তার নিজস্ব সমস্যাকে দুনিয়ার সকল সমস্যার উর্ধ্বে স্থান দিয়ে থাকে। ধরুন কারও ভীষণ মাথাব্যাথা হচ্ছে। ঐ সময় তার কাছে এটা এমনই জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়ায় যে, সে সময় যদি রাশিয়ায় প্রচণ্ড বোমা বিস্ফোরণ হতে থাকে বা দক্ষিণ আমেরিকায় ব্যপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে থাকে – এ সংবাদ তখন তার মনে আদৌ কোনো রেখাপাত করবে না। অনুরূপভাবে কারো ছেলে যদি চরিত্রহীন হয়ে যায়, ভুলপথে পরিচালিত হয়, তখন এটাই তার একমাত্র মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় যে, সে সময় সারা দেশ চরম নৈতিকতা বিরোধী কার্যকলাপের শিকারে পরিণত হোক না কেন, এর প্রতি সে নজর দেয়ার প্রয়োজন বোধ করবে না। অতএব আপনার দায়িত্ব হবে কারো চিন্তাজগতে পরিবর্তন সাধন করতে হলে তার যাবতীয অবস্থা সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত হওয়া এবং তার আশেপাশের পরিবেশটা একবার ভালোভাবে দেখে নেয়া। তাতে আপনি লক্ষ্য করবেন যে,বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন কোন জিনিস রয়েছে যা ঐ ব্যক্তির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তখন সংশ্লিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করেই আপনি তার সঙ্গে আলোচনার সূত্রপাত করতে পারেন। যেমন মনে করুন,আপনি তাকে বুঝাচ্ছেন – মানুষের রচিত বিধান মানুষের কল্যাণার্থে কিছুতেই কার্যকরী নয় এবং এ দ্বারা কিছুতেই মানব-সমস্যার সমাধান হতে পারে না। এ উদ্দেশ্যে আপনি এর সমর্থনে দুনিয়ার বিভিন্ন ঘটনা এবং যুক্তি-প্রমাণাদির অবতারণা করলেন। কিন্তু এটা তার কাছে তত আবেদনশীল হবে না, যতটা আবেদনশীল হবে যখন উক্ত ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে আপনি তার সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং তার সপক্ষে যুক্তি প্রমাণাদি পেশ করবেন। প্রায় সকল ব্যাপারেই এরকম অবস্থা দেখা যায়। সে সময় ভালোভাবে পরিস্থিতি অনুধাবন করা উচিত।

(ঘ) উপযুক্ত সময় তার সঙ্গে সাক্ষাত করা যাতে সে আগ্রহ সহকারে আপনার কথা-বার্তার প্রতি মনযোগী হয়। অনেক লোক সময়ের প্রতি লক্ষ্য না রেখে কথা বলে নিজের কথার গুরুত্ব হ্রাস করে ফেলে। কোনো সময় হয়তো কোনো ব্যক্তি বিশেষ কোন সমস্যা নিয়ে চিন্তা করছে অথবা অন্য একটা কাজের প্রতি তার সম্পুর্ণ মনোযোগ আকৃষ্ট রয়েছে, এমতাবস্থায় যদি আপনি নিজের কথা নিয়ে তার কাছে গিয়ে উপস্থিত হন, তাহলে এটা জানা কথা যে, আপনাকে তখন সম্পূর্ণ নিরাশ হয়ে ফিরতে হবে। আপনি যদি কৃতকার্য হতে চান, তাহলে আপনাকে উপযুক্ত সময়ে তার সাথে মিলতে হবে, যাতে সে আগ্রহ সহকারে আপনার কথাবার্তার প্রতি মনোযোগী হয়, আর না হয় উপযুক্ত সময়ের প্রতীক্ষায় থাকতে পারেন। প্রত্যেকেরই এমন কোন না কোন বিষয় রয়েছে, যার প্রতি তার আকর্ষণ সবচাইতে বেশী। আপনি উক্ত বিষয় নিশ্চয়ই নিজের আগ্রহ প্রকাশ করতে পারেন। যেমন শিকার করা বা কবিতা আবৃত্তির শখ কিংবা কোনো পেশা অথবা শিল্পের প্রতি ঝোঁক কিংবা কোন আন্দোলনের সংগে জড়িত হওয়া, চাষ করা, ফুলের বাগান করা, বাড়িঘর তৈরি করা বা পোশাক-পরিচ্ছদ ব্যবহার ইত্যাদি – এ জাতীয় এমন অসংখ্য বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনার সূত্র ধরে তার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেন। এইভাবে আপনার আদর্শ প্রচারের জন্যে ময়দান প্রস্তুত করতে পারেন। এ ছাড়া অন্য পন্থায় সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি আপনার কথা নীরবে শ্রবণ করলেও তা নিছক ভদ্রতার খাতিরেই হয়তো কতক্ষণ ধৈর্য ধরে শুনতে থাকবে, কিন্তু তার পরক্ষণেই কথা কাটাকাটি আরম্ভ করে দেবে। কাজেই আদর্শ প্রচারের ক্ষেত্রে সত্যিকার সফলতা লাভ করতে হলে প্রথমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অন্তরে নিজের জন্যে স্থান করে নিতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url