Ad

আঞ্চলিক ভাষায় কুরআন পড়ার অনুমতি।

 

আঞ্চলিক ভাষায় কুরআন পড়ার অনুমতি

 

একটি বিরাট সুযোগ ছিল

 

আরবী****

 

৭১। হযরত উবাই ইবনে কা’ব ( রাঃ ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিব্রাঈল ( আঃ ) এর সাথে সাক্ষাত করলেন। তিনি বললেন-  হে জিব্রাঈল, আমি একটি নিরক্ষর উম্মতের প্রতি প্রেরিত হয়েছি। এদের মধ্যে রয়েছে বৃদ্ধা ও বৃদ্ধ, কিশোর- কিশোরী এবং এমন ব্যক্তি যে কখনো পড়া-লেখা করেনি। জিব্রাঈল ( আঃ ) বললেন- হে মুহাম্মদ, কুরআন সাত রীতিতে নাযিল হয়েছে। --- ( তিরমিযি )

 

মুসনাদে আহমাদ ও আবু দাউদের বর্ণনায় আছে, জিব্রাঈল ( আঃ ) আরো বললেন- “কুরআন যেসব রীতিতে নাযিল হয়েছে তা আরোগ্য দানকারী এবং যথেষ্ট।”

 

নাসাঈর বর্ণনায় আছে, “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- জিব্রাঈল এবং মিকাঈল ( আঃ ) আমার কাছে আসলেন। জিব্রাঈল আমার ডান পাশে বসলেন এবং মিকাঈল আমার বাম পাশে বসলেন। অতপর জিব্রাঈল আমাকে বললেন- কুরআন মাজীদ এক রীতিতে ( অর্থাৎ কুরাইশদের মধ্যে প্রচলিত বাক্যরীতি অনুযায়ী ) পাঠ করুন। মিকাঈল আমাকে বললেন, আরো এক রীতিতে পাঠ করার অনুমতি চান। ( আমি এই অনুমতি চাইতে থাকলাম )। এমনকি শেষ পর্যন্ত সাত রীতিতে কুরআন পাঠ করার অনুমতি দেয়া হল। সুতরাং এর প্রত্যেক রীতিই আরোগ্য দানকারী এবং যথেষ্ট।”

 

প্রত্যেক রীতি নিরাময়কারী ও যথেষ্ট হওয়ার অর্থ হচ্ছে—এর মধ্যে কোন প্রকারের ভ্রান্তির আশংকা নেই। কুরাইশদের অভিধান অনুযায়ী কুরআন পাঠ যেভাবে আরোগ্য দানকারী এবং যথেষ্ট অনুরূপভাবে অন্যান্য গোত্রের অভিধান অনুযায়ী তাঁর পাঠ আরোগ্য দানকারী এবং যথেষ্ট। এর মধ্যে যে কোন গোত্রের অভিধান অনুযায়ী কুরআন পাঠ করলে তাতে কুরআনের মূল উদ্দেশ্য ও অর্থের পরিবর্তন ঘটার কোন আশংকা নেই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url