Ad

আরবের মুশরিক সমাজ বনাম আল্লাহর বাণী।

 

আরবের মুশরিক সমাজ

এবার আমরা আলোচনা করে দেখবো, এ ব্যাপারে আরবের মুশরিকদের গোমরাহী কোন ধরনের ছিলো। এদের প্রতি রাসূল (স) প্রেরিত হয়েছিলেন, আর এদেরকেই কোরআনে সর্বপ্রথম সম্বোধন করা হয়। তারা কি আল্লাহ সম্পর্কে অনবহিত ছিলো, তাঁর অস্তিত্বে অবিশ্বাসী ছিলো? তাদেরকে আল্লাহর অস্তিত্ব স্বীকার করাবার জন্যেই কি রাসূল প্রেরিত হয়েছিল? তারা কি আল্লাহকে রব-ইলাহ স্বীকার করতো না? তাদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালার উলুহিয়াত ও রুবুবিয়াত স্বীকার করাবার জন্যেই কি কোরআন নাযিল হয়েছিলো? তারা কি আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী অস্বীকার করতো? না তারা কি মনে করতো যে, মূলত লাত-মানাত ও হোবাল-ওযযা এবং অন্যান্য মাবুদই বিশ্বজাহানের সৃষ্টিকর্তা, মালিক, রিজিকদাতা ও নিয়ন্ত্রক-পরিচালক? না তারা তাদের এসব মাবুদকে আইনের উৎস, নৈতিক ও তমুদ্দুনিক সমস্যায় হেদায়াতের উৎসমূল বলে স্বীকার করতো?

আমরা কোরআন থেকে এসব প্রশ্নের এক একটি নেতিবাচক জবাব পাই। কোরআন আমাদেরকে বলছে যে, আরবের মুশরিকরা কেবল আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসীই ছিলো না, বরং তাকে সমগ্র বিশ্ব-চরাচর এবং তাদের নিজেদের মাবুদের্ও স্রষ্টা, মালিক্ও মহান খোদা (Grand Lord) বলে স্বীকার করতো, স্বীকার করতো তাকে রব ও ইলাহ বলে। সংকট-সমস্যা ও দুর্যোগ –দুর্বিপাকে তারা যে দরবারে সর্বশেষ আপীল করতো, তা ছিলো তারই দরবার। তারা আল্লাহ্র ইবাদত-বান্দেগীও অস্বীকার করতো না। নিজেদের দেবতা-মাবুদ (উপাস্য) সম্পর্কে তাদের এ বিশ্বাস ছিলো না যে, তারা তাদের নিজেদের ও বিশ্ব-জাহানের স্রষ্টা-রিজিকদাতা, এসব উপাস্য জীবনের নৈতিক-তমুদ্দনিক সমস্যায় তাদের পথ-নির্দেশ দান করে-এ বিশ্বাসও তারা পোষণ করতো না। নিম্নের্ আয়াতগুলো এর ————————————– হে নবী! তাদের জিজ্ঞেস করো, যমীন এবং তাতে যা কিছু আছে, তা কার মালিকানায়? তোমরা জানলে বলো। তারা বলবে; আল্লাহ্র মালিকানায়। বলো; তবুও তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না? জিজ্ঞেস করো; সাত আসমান ও মহান আরশের রব কে? তারা বলবে, আল্লাহ। তবুও তোমরা ভয় করবে না? বলো, সকল বস্তুর রাজকীয় ক্ষমতা কার হাতে ন্যস্ত? কে তিনি যিনি আশ্রয় দান করেন? অথচ তাঁর মোকাবিলায় আশ্রয় দানের ক্ষমতা কারুর নেই। বলো, যদি তোমরা জানো। তারা বলবে; এই গুন-বৈশিষ্ট্য শুধু আল্লাহর।বলো,তাহলে কোথেকে তোমরা প্রতারিত হচ্ছো? আসল কথা এই যে, আমরা তাদের সামনে বাস্তব সত্য তুলে ধরেছি্ আর তারা নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদী। আল মুমিনুন-৮৪-৯০

তিনিই – তো আল্লাহ্, যিনি তোমাদেরকে জলে-স্থলে পরিভ্রমণ করান। এমন কি তোমরা যখন নৌকায় আরোহণ করে অনুকূল বাতাসে আনন্দে সফর করে বেড়াও; অতপর অকস্মাৎ প্রতিকুল বাতাস সজোরে প্রবাহিত হতে থাকে, আর চতুর্দিক থেকে ঢেউ খেলতে শুরু করে-তারা ভাবে ঝড়-ঝঞ্ঝা তাদেরকে বেষ্টন করে ফেলেছে, তখন সকলে আল্লাহ্কেই ডাকে। আপন দীনকে তাঁর জন্যে নিবেদিত করে দো্য়া করতে থাকে; আমাদেরকে এ বিপদমুক্ত করলে আমরা তোমার কৃতজ্ঞ বান্দা হবো। কিন্তু তিনি তাদেরকে বিপদমুক্ত করলে তারাই সত্য থেকে সরে দাঁড়িয়ে যমীনে নাহক বিদ্রোহ করে বসে। -ইউনুস-২২-২৩

————————————— সমুদ্রে তোমাদের কোন বিপদ দেখা দিলে এক আল্লাহ ব্যতীত আর যাদের যাদের তোমরা ডাকতে, তারা সকলেই গায়েব হয়ে যায়। কিন্তু তিনি যখন তোমাদের রক্ষা করে স্থলভাগে পৌছিয়ে দেন, তখন তোমরা তাঁর থেকে বিমুখ হয়ে যাও। সত্য কথা এই যে, ইনসান ব্ই অকৃতজ্ঞ-একান্ত না- শোকর বান্দা। বনী-ইসরাইল-৬৭

নিজেদের মাবুদ (উপাস্য) সম্পর্কে তাদের যে ধারনা ছিল, স্বয়ং তাদেরই জবানীতে কোরআন তা এভাবেই উল্লেখ করেছেঃ

————————————————————— আর যারা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে বন্ধু ও কার্যোদ্ধারকারী হিসাবে গ্রহণ করে, তারা বলে; এরা আমাদের আল্লাহ্র নিকটবর্তী করবে-এজন্যেই তো আমরা তাদের ইবাদত করি। -আয-যুমার-৩

———————- আর তারা বলে, এরা আল্লাহ্র হুজুরে আমাদের জন্যে সুপারিশকারী।

নিজেদের মাবুদ (উপাস্য) সম্পর্কে তারা এমন ধারণাও পোষণ করতো না যে, তারা জীবন-সমস্যায় পথ-নির্দেশক। সূরা ইউনুস ৩৫ আয়াতে আল্লাহ আপন নবীকে নিদের্শ দিচ্ছেনঃ

——————————– তাদের জিজ্ঞেস করো, তোমাদের বানানো সেসব শরীকদের কেউ সত্যের দিকে পথ-প্রদর্শনকারীও রয়েছে কি?

কিন্তু এ প্রশ্নটি শুনে তাদের ওপর নীরবতা ছেয়ে যায়। লাত-মানত, ওজ্জা বা অন্য মাবুদ-উপাস্যরা আমাদেরকে চিন্তা ও কর্মের সঠিক পথ নির্দেশ করে; পার্থিব জীবনে তারা আমাদেরকে শান্তি-স্বস্তি্ও ন্যায়ের মূলনীতি শিক্ষা দেয়, তাদের জ্ঞানধারা থেকে আমরা বিশ্বচরাচরের মূলতত্ত্ব সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করি-ওদের কেউই এমন জবাব দেয় নি। তাদের নীরবতা দেখে শেষ পযর্ন্ত আল্লাহ তার নবীকে বলেনঃ

————————————— বল, আল্লাহ্ কিন্তু সত্যের দিকে পথ প্রদর্শন করেন। তবে বল, অনুসরণীয় হওয়ার অধিক যোগ্য কে? যিনি সত্যের পথ প্রদর্শন করেন, না সে, যাকে পথ প্রদশর্ন না করা হলে সে নিজেই কোন সন্ধান লাভ করতে পারে না? তোমাদের হয়েছে কি? কেমন ফয়সালা করেছো তোমরা? ইউনুস-৩৫

এসব স্পষ্ট উক্তির পর এখন একটি প্রশ্নই অমীমাংসিত থেকে যায়। প্রশ্নটি এই যে, তাহলে রুবুবিয়াতের ব্যাপারে তাদের আসল গোমরাহী কি ছিল, যা সংশোধন করার জন্যে আল্লাহ্ তাঁর নবী পাঠিয়েছেন, কিতাব নাযিল করেছেন? এ প্রশ্নের মীমাংসার জন্যে কোরআনের প্র্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে তাদের আকীদা বিশ্বাস এবং কর্মেও আমরা দুটি বুনিয়াদী গোমরাহীর সন্ধান পাই; প্রাচীনকাল থেকে সকল গোমরাহ কওমের মধ্যেও যা পাওয়া যেতো অর্থাৎ একদিকে অতি প্রাকৃতিক অর্থে তারা আল্লাহ্র সাথে অন্যান্য রব-ইলাহকেও শরীক করতো এবং মনে করতো যে, কার্যকারণপরম্পরায় যিনি কর্তৃত্বশীল তাঁর ক্ষমতা ইখতিয়ারে ফিরেশতা, বুযুর্গ-ব্যক্তি ও গ্রহ-নক্ষত্র ইত্যাদির কোন না কোন কর্তৃত্ব রয়েছে। এ কারণেই দোয়া,সাহায্য কামনা ও ইবাদতের রীতি ও নীতি, আচারঅনুষ্ঠানে তারা কেবল আল্লাহ্র দিকেই প্রত্যাবর্তন করতো না, বরং সেসব কৃত্রিম খোদার দিকেও প্রত্যাবর্তন করতো।

অপরদিকে তমুদ্দুনিক-রাজনৈতিক রুবুবিয়াতের ব্যাপারে তারা ছিল একেবারেই শূণ্যমনা। এ অর্থেও কোন রব আছে, তা তাদের মনের কোণেও স্থান লাভ করে নি। এ অর্থে তারা তাদের ধর্মীয় নেতা-কর্তা ব্যক্তি, সর্দার মাতব্বর ও খান্দানের বুযুর্গ (মহান) ব্যক্তিদেরকে রব বানিয়ে বসেছিলো; তাদের কাছ থেকেই নিজেদের জীবন বিধান গ্রহণ করতো। তাদের প্রথম গোমরাহী সম্পর্কে কোরআন সাক্ষ্য দিচ্ছেঃ

————————– মানুষের মধ্যে এমন লোকও আছে, যে খোদাপোরোস্তীর প্রান্ত সীমানায় দাড়িয়ে তার ইবাদত করে। কল্যাণ লাভ হলে তা নিয়ে শান্ত-তুষ্ট হয়ে যায়। অবশ্য কোন অসুবিধা দেখলে মুখ ফিরিয়ে দাঁড়ায়। এমন ব্যক্তি দুনিয়া-আখেরাত-দু-ই বরবাদ করলো। আর এটাই হচ্ছে স্পষ্ট ক্ষতি। সে আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে এমন কাউকে ডাকে, যারা তার কোন অকল্যাণ করার ক্ষমতা রাখে না, ক্ষমতা রাখে না কোন কল্যাণ করারও। এটাই হচ্ছে বড় গোমরাহী-বিরাট পথ-ভ্রষ্টতা। সে সাহায্যের জন্যে এমন কাউকে ডাকে, যাকে ডাকায় লাভের তুলনায় ক্ষতি অনেক নিকটতর। কতই না নিকৃষ্ট বন্ধু আর কতই না নিকৃষ্ট সাথী।-আল-হাজ্জ-১১-১৩

———————– তারা আল্লাহ্কে ছেড়ে এমন কারো ইবাদত করছে, যারা অকল্যাণও করতে পারে না, পারে না কল্যাণও করতে। এবং তারা বলে; আল্লাহ্র হুজুরে তারা আমাদের সুপারিশকারী। বল, আসমান-যমীনে আল্লাহ্র জ্ঞানে নেই১ -তোমরা কি আল্লাহ্কে এমন কিছুর সংবাদ দিচ্ছো? তারা যে শিরক করছে, তা থেকে আল্লাহ্ পবিত্র- মুক্ত।-ইউনুস-১৮

——————————— হে নবী! তাদেরকে বলে দাও, যে আল্লাহ্ দু’দিনে যমীন পয়দা করেছেন, সত্যিই কি তোমরা তাঁর সাথে কুফরী করছো? আর অন্যদেরকে তাঁর সমকক্ষ-প্রতিপক্ষ করছো?-হা-মীম আস-সাজদা-৯

———————————

১. অর্থাৎ তোমরা এমন ভ্রান্ত ধারণায় পতিত হয়েছো যে, আমার কাছে সেসব মাবুদের এমন ক্ষমতা চলে যে, তারা আমার কাছে যে সুপারিশই করবে, তা-ই কবুল না হয়ে পারে না। আর এজন্যেই তোমরা তাদের আস্তনায় মাথা ঠুক, ভেট দাও। আমার দরবারে এত বড় ক্ষমতাধর অথবা আমার এত প্রিয়পাত্র যে, আমি তার সুপারিশ কবুল করতে বাধ্য হবো- আসামন-যমীনে এমন কোন সত্তা তো আমার জানা নেই। তবে কি আমি জানি না -আমাকে এমন সুপারিশকারীদের খবর দিচ্ছো? স্পষ্ট যে, আল্লাহ্র জ্ঞানে কোন জিনিস না থাকার অর্থ আদপে তার অস্তিত্বই নেই।

বল, তোমরা কি আল্লাহ্ ছাড়া এমন কারো ইবাদত করছো? তোমাদের কল্যাণের কোন ইখতিয়ারই যাদের নেই, নেই কোন অ-কল্যাণের ক্ষমতা অথচ একমাত্র আল্লাহ্রই তো শ্রোতা-জ্ঞাতা। -আল-মায়েদা-৭৬

—————————- আর যখন মানুষকে কোন বিপদ স্পর্শ করে তখন একাগ্রে চিত্তে আপন রবকেই ডাকে। কিন্তু তিনি যখন তাকে কোন নিয়ামতে সরফরাজ করেন, তখন যে বিপদে পড়ে ইতিপূর্বে তাঁকে ডেকেছিলো, তা বিস্মৃতি হয়ে যায়; আল্লাহ্র সমকক্ষ নির্ধারণ করতে থাকে১ যেন তাকে আল্লাহ্র পথ থেকে বিচ্যুত করে।-আযযুমার-৮

—————————– যে নিয়ামতই লাভ করেছো, তা করেছো আল্লাহ্র দান-বিখশিশের ফলে। অতপর কোন বিপদ স্পর্শ করলে আল্লাহ্র হুজুরেই ফরিয়াদ নিয়ে হাজির হও। কিন্তু তিনি যখন তোমাদের ওপর থেকে সে বিপদ বিদূরিত করেন, তখন তোমাদের কিছু লোক এ বিপদ মুক্তিতে অন্যদেরকেও শরীক করতে শুরু করে, অনুগ্রহ বিস্মৃতি দ্বারা অনুগ্রহের জবাব দেয়ার জন্যে। আচাছা! মজা লুটে নাও। অনতিবিলম্বে তোমরা এর পরিণতি জানতে পারবে। তোমরা যাদের জানো না, তাদের জন্যে আমাদের দেয়া রিজিকের অংশ নির্ধারণ করো।২ আল্লাহ্র

১. আল্লাহ্র সমকক্ষ করতে থাকে এর অর্থ, বলতে থাকে যে, অমুক বুযুর্গের বরকতে এ বিপদ কেটে গেছে, অমুক হযরতের এনায়াত অনুগ্রহে এ নিয়ামত লাভ হয়েছে।

২. অর্থাৎ যারা বিপদ মুক্তকারী এবং সংকট মোচনকারী ছিল-কোন জ্ঞান -তথ্য দ্বারা যাদের সম্পর্কে এ সত্য প্রতিষ্ঠিত হয় নি, কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তাদের জন্যে নজর-নিয়াজ করে নৈবেদ্য নিবেদন করে। মজার ব্যাপার এই যে, এসব কিছুই করে আমাদের দেয়া রিজিক থেকে।

শপথ, তোমরা যেসব উৎকট-উদ্ভট ধারণা-কল্পনা করছো, সে সম্পর্কে তোমরা অবশ্যই খুটিয়ে খুটিয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।-আন-নহল-৫৫-৫৬

অবশিষ্ট রইলো তাদের দ্বিতীয় গোমরাহী। সে সম্পর্কে কোরআনের সাক্ষ্য এইঃ ——————- আর এমনি করে অনেকে মুশরিকের জন্যে তাদের মনগড়া শরীকরা নিজেদের সন্তান হত্যাকে মনঃপুত করে দিয়েছে, যেন তাদেরকে ধ্বংসে নিপতিত করে, তাদের দীনকে করে দেয় তাদের জন্য সন্দেহপূর্ণ।

স্পষ্ট যে, এখানে শুরাকা (অংশীদারগণ)-এর অর্থ মূর্তি-দেবতা নয়, বরং যেসব নেতা-কর্তা ব্যক্তি সন্তান হত্যাকে আরববাসীদের দৃষ্টিতে কল্যাণ ও শোভা সৌন্দর্যের কার্য হিসাবে পেশ করেছিলো, এখানে শুরাকা অর্থ তাই। হযরত ইবরাহীম ও হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর দীনে এরাই এহেন উৎকট প্রথার সংমিশ্রণ করেছিলো। আরও স্পষ্ট যে, আরববাসীরা তাদেরকে কার্যকারণপরম্পরায় কর্তৃত্বশীল মনে করতো বা তাদের পূজা করতো অথবা তাদের নিকট প্রার্থনা জানাতো। এসব অর্থে তাদেরকে আল্লাহ্র শরীক বলা হয় নি। রুবুবিয়াত-উলুহিয়াতে তাদেরকে শরীক বলা হয়েছে-তার কারণ এই যে, তমুদ্দুনিক সামাজিক সমস্যা, নৈতিক ও ধর্মীয় বিষয় যেভাবে খুশী তারা প্রণয়ন করতে পারে-আরববাসীরা তাদের এ অধিকার স্বীকার করে নিয়েছিলো।

——————————— তারা কি এমন শরীক বানিয়ে বসেছে, যারা তোদের জন্যে দীনের ব্যাপারে এমন সব আইন-বিধান রচনা করেছে, আল্লাহ্ যার অনুমতি দেন নি, দেন নি কোনহুকুম।-আশ-শূরা-২১

দীন শব্দের ব্যাখ্যা পরে করা হবে। এ আয়াতের অর্থের পূর্ণ ব্যাপকতাও সেখানে সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট হবে। কিন্তু এখানে ন্যূনপক্ষে এতটুকু তো পরিষ্কার জানা যায় যে, আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত তাদের নেতা-কর্তা ব্যক্তিদের এমন রীতিনীতি নির্ধারণ-যার ধরন-প্রকৃতি দীনের অনূরূপ-আর আরববাসীদের তাকে একান্তে অনুসরণীয় বলে স্বীকার করে নেয়া-এটাই রুবুবিয়াত-ইলাহিয়াতে আল্লাহ্র সাথে তাদের শরীক হওয়া; এটাই ছিলো আরববাসিগণ কর্তৃক তাদের অংশীদারিত্ব স্বীকার করে নেয়া।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url