Ad

কোরআনে বর্ণীত আদ ও সামুদ জাতির বর্ণনা।

 

আদ জাতি

নূহ (আঃ) -এর জাতির পরে কোরআন আদ জাতির কথা আলোচনা করেছেন। এ জাতিও আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করতো না। হযরত নূহ (আঃ)-এর জাতি যে অর্থে আল্লাহ্কে রব স্বীকার করতো, সে অর্থে এরাও আল্লাহ্কে মানত। অবশ্য দুটি বিষয় বিরোধের ভিত্তি ছিলো, যা ওপরে নূহ (আঃ)-এর জাতির প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, কোরআনের নিম্নোক্ত স্পষ্ট ঘোষণা এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট প্রমাণ দিচ্ছেঃ

—————————————– এবং তাদের প্রতি আমরা তার ভাই হূদকে পাঠিয়েছি। তিনি বললেন, হে আমার জাতির লোকেরা! তোমার আল্লাহ্র ইবাদত করো। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন ইলাহ নেই।………… তারা বললো! আমরা কেবল আল্লাহ্র ইবাদত করবো, আমাদের বাপ-দাদার যুগ থেকে যেসব মাবুদের ইবাদত চলে আসছে, তাকে পরিত্যাগ করবো-এর জন্যই কি তোমার আগমন?- আল- আরাফ-৬৫-৭০

—————————– তারা বললো, আমাদের রব ইচ্ছা করলে ফেরেশতা প্রেরণ করতেন।

———————————- এরাই তো আদ, যারা তাদের রব-এর বিধান মানতে অস্বীকার করেছিলো, তাঁর রাসূলের আনুগত্য কবূল করে নি এবং সত্যের দুশমন ঔদ্ধত্যপরায়ণের অনুসরণ করেছিল। হূদ-৫৯

সামুদ জাতি

এবার সামুদ জাতি সম্পর্কে শুনুন। আদের পর এরা ছিলো সবচেয়ে ঔদ্ধত্যপরায়ণ জাতি। নূহ (আঃ) ও আদ জাতির গোমরাহীর কথা আলোচনা করা হয়েছে। মূলত এদের গোমরাহীও ছিলো সে ধরনেরই। আল্লাহ-ই একমাত্র ইলাহ, কেবল তিনিই ইবাদতের অধিকারী, রুবুবিয়াত সকল অর্থে কেবল আল্লাহ্র জন্যেই নির্দিষ্ট – এ কথা তারা স্বীকার করতো না। তারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকেও ফরিয়াদ গ্রহণকারী, সংকট মুক্তকারী এবং অভাব পূরণকারী বলে স্বীকার করতে জিদ ধরে বসেছিলো। নিজেদের নৈতিক ও তমুদ্দুনিক জীবনে আল্লাহ ছাড়া সর্দার, মাতব্বর এবং নেতা-কর্তা ব্যক্তিদের আনুগত্য করতে এবং তাদের কাছ থেকে নিজেদের জীবন বিধান গ্রহণ করতে তারা বদ্ধপরিকর ছিলো। শেষ পর্যন্ত এটাই তাদের ফাসাদকারী জাতি-বিপর্যয় সৃষ্টিকারী কওম এবং পরিণামে আজাবে নিপতিত হওয়ার কারণ হয়েছে। নিম্নোক্ত আয়াতসমুহ থেকে এর স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়ঃ

————- (হে মুহাম্মদ !) এরা যদি তোমার আনুগত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তাদের বলে দাও যে, আদ-সামুদ যে শাস্তি পেয়েছিলো, তেমনি এক ভয়ংকর শস্তি সম্পর্কে আমি তোমাদের ভয় প্রদর্শন করছি। সেসব জাতির নিকট যখন তাদের অগ্র-পশ্চাৎ থেকে রাসূল এসেছিলেন আর বলেছিলেন, আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদত-বন্দেগী করো না, তখন তারা বলেছিলো, আমাদের রব ইচছা করলে ফেরেশতা পাঠাতেন; সুতরাং যা কিছু নিয়ে তোমাদের আগমন, আমরা তা মানি না- স্বীকার করি না।

————————————- আর সামুদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম আমরা তাদের ভাই ছালেহকে। তিনি বললেন; হে আমার জাতির ভাইয়েরা! আল্লাহর ইবাদত করো, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই। তারা বললো; ছালেহ! আগে তো তোমার সম্পর্কে আমাদের বিরাট আশা ভরসা ছিলো। বাপ -দাদার যুগ থেকে যাদের ইবাদত চলে আসছিলো, তুমি কি আমাদেরকে তাদের ইবাদত থেকে বারণ করছো?- (ছুরা হূদ-৬১-৬২)

———————————————- যখন তাদের ভাই ছালেহ তাদেরকে বলছিলো; তোমাদের কি নিজেদেরকে রক্ষা করার কোন চিন্তা নেই? দেখ, আমি তোমাদের জন্যে আল্লাহর নির্ভরযোগ্য রাসূল। সুতরাং আল্লাহর অসন্তুষ্টি থেকে নিবৃত্ত থাকো, আর আমার আনুগত্য করো। ……. সেসব সীমা লংঘনকারীর আনুগত্য করো না, যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় র্সৃষ্টি করে, কোন কল্যাণই সাধন করে না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url