Ad

মানব জাতিকে কোরআনের দাওয়াত।

 

কোরআনের দাওয়াত

গোমরাহ জাতিসমূহের ধারণা-কল্পনার যে বিশ্লেষণ ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে, তা থেকে এ সত্য একেবারে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে কোরআনের অবতরণকাল পযর্ন্ত যতগুলো জাতিকে কোরআন-জালেম, ভ্রান্ত চিন্তাধারার অধিকারী এবং বিপদগামী বলে উল্লেখ করেছে, তাদের কোন একটি জাতিও আল্লাহ্র অস্তিত্ব অস্বীকার করতো না। অবশ্য তাদের সকলেই আসল ও যৌথ গোমরাহী এই ছিলো যে, তারা রুবুবিয়াতের পাঁচটি অর্থকে-অভিধান ও কোরআনের সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে শুরুতেই আমরা যা প্রতিপন্ন করেছি-দুটি ভাগে বিভক্ত করে ফেলেছিলো।

অতি প্রাকৃতিকভাবে তিনি সৃষ্ট জীবের প্রতিপালন, রক্ষণাবেক্ষণ, অভাবঅভিযোগ পূরণ ও দেখাশোনার জন্যে যথেষ্ট-রব এর এ অর্থ তাদের দৃষ্টিতে ভিন্ন অর্থজ্ঞাপক ছিলো। এ অর্থ অনুযায়ী যদিও তারা আল্লাহ্কেই সর্বশ্রেষ্ঠ রব বলে স্বীকার করতো, কিন্তু তার সাথে ফেরেশতা, দেবতা, জ্বিন,অদৃশ্য শক্তি, গ্রহ-নক্ষত্র,নবী-ওলী ও পীর পূরোহিতদেরকেও রুবুবিয়তে শরীক করতো।

তিনি আদেশ-নিষেধের অধিকারী, সর্বোচ্চ ক্ষমতার মালিক, হেদায়াত ও পথ নির্দেশের উৎস, আইন বিধানের মূল, রাষ্ট্রের কর্ণধার এবং সমাজ সংগঠনের কেন্দ্রবিন্দু-রবের এ ধারণা তাদের ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। এ অর্থের দিক থেকে তারা হয় আল্লাহ্র পরিবর্তে মানুষকে রব মনে করতো অথবা মতবাদ হিসাবে আল্লাহ্কে রব মনে করলেও কার্যত মানুষের নৈতিক, তমুদ্দুনিক ও রাজনৈতিক রুবুবিয়াতের সামনে আনূগত্যের মস্তক অবনত করতো।

এ গোমরাহী দূর করার জন্যেই শুরু থেকেই নবী-রাসূলদের আবির্ভাব হয়েছে। এর এজন্যেই শেষ পর্যন্ত হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আগমন করেছেন। তাঁদের সকলেরই দাওয়াত ছিলো এইঃ এ সকল অর্থে রব কেবল একজন। আর তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ্ রব্বুল আলামীন। রুবুবিয়াত অবিভাজ্য। কোন অর্থেই কেউই রুবুবিয়াতের কোন অংশ লাভ করতে পারে না। বিশ্ব জাহানের ব্যবস্থাপনা এক পরিপূর্ণ ব্যবস্থার অধীন কেন্দীয় বিধান। এক আল্লাহ্ই তার স্রষ্টা। একই আল্লাহ্ তার ওপর কর্তৃত্ব করছেন। বিশ্ব জাহানের সকল ক্ষমতা ইখতিয়ারের মালিক এক আল্লাহ্। বিশ্ব জাহানের সৃষ্টিতে কারো কোন দখল নেই; পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায়ও নেই তাঁর শরীক। শাসনকার্যেও নেই কেউ তাঁর হিস্সাদার। কেন্দীয় ক্ষমতার অধিকার হিসাবে তিনি একাই তোমাদের অতি প্রাকৃতিক রব। নৈতিক, তমুদ্দুনিক ও রাজনৈতিক রবও তিনিই। তিনিই তোমাদের মাবুদ, তিনিই তোমাদের রুকু-সিজদা পাওয়ার যোগ্য। তিনিই তোমাদের দোয়া-প্রার্থনায় শেষ কেন্দ্রস্থল। তিনিই তোমাদের আশা-ভরসার অবলম্বন। তিনিই তোমাদের অভাব-অভিযোগ পূরণ কারী। এমনিভাবে তিনিই বাদশা, মালেকুল মুলক-রাজাধিরাজ। তিনিই আইন-বিধানদাতা, আদেশ-নিষেধের অধিকারী। রুবুবিয়াতের এ দুটি দিক- জাহেলিয়াতের কারণে তোমরা যাকে পৃথক করে নিয়েছিলে–আসলে আল্লাহ্র অপরিহার্য অংশ এবং আল্লাহ্র বৈশিষ্ট্য বিশেষ; এর কোনটিকেই একে অপর থেকে বিছিন্ন কার যায় না, এর কোন এক প্রকারেই কোন সৃষ্টি জীবকে আল্লাহ্র শরীক করা বৈধ নয়।

কোরআন যে ভাষায় এ দাওয়াত পেশ করেছে, তা স্বয়ং কোরআনের জবানীতেই শুননঃ

—————————————- বাস্তবে তোমাদের রব তো আল্লাহ্ তায়ালা। যিনি ছ’দিনে আসামন-যমীন পয়দা করেছেন, তারপর রাজ্য-সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি দিনকে রাতের পোশাকে আচ্ছাদিত করেন আর রাতের পেছনে দিন ছুটে চলছে দ্রুত। চন্দ্র-সূর্য-তারকা সব কিছুই তাঁর ফরমানের অধীন। শোন, সৃষ্টি তাঁর, কৃর্তৃত্বও কেবল তাঁই। আল্লাহ্ সারা জাহানের রব-বড়ই বরকতের অধিকারী। আরাফ-৫৪

———————– তাদের জিজ্ঞেস করো; আসমান-যমীন থেকে কে তোমাদের রিজিক দান করেন? কর্ণের শ্রবণ শক্তি এবং চক্ষের দর্শন শক্তি কার ইখতিয়ার-অধিকারে? কে তিনি, যিনি মৃতের মধ্য হতে জীবিত এবং জীবিতের মধ্য হতে মৃত বের করে আনেন? বিশ্ব জাহানের এ কারখানা কে পরিচালনা করছেন? তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ্। বল, তবুও কি তোমরা ভয় করছো না? এ সবই যখন তাঁর, সুতরাং তিনি তোমাদের সত্যিকার রব। সত্য প্রকাশের পর গোমরাহী ব্যতীত আর কি-ই-বা অবশিষ্ট থাকতে পারে? তবে কোথা থেকে তোমরা এ ঠোকর খেয়ে সত্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছো?

——————————– তিনি আসমান-যমীনকে যথাযথভাবে পয়দা করেছেন। তিনিই রাতকে দিনের ওপর এবং দিনকে রাতের ওপর মুড়িয়ে দেন। তিনি চন্দ্র-সূর্যকে এমন এক নিয়ম-শৃংখলার অধীন করে দিয়েচেন, যাতে সকলেই নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত অব্যাহত গতিতে চলছে। ………………. এ আল্লাহই তোমাদের রব। রাজত্ব তাঁরই। তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ নেই। তাহলে তোমরা কোত্থেকে ঠোকর খেয়ে ফিরে যাচ্ছো? -আজ-জুমার-৫-৬

——————————————— তিনি আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্যে রাত বানিয়েছেন, যেন তোমরা তাতে শান্তি লাভ করতে পারো। আর তিনি দিনকে করেছেন রওশন।….. সে আল্লাহই তোমাদের রব, সব বস্তুর স্রষ্টা। তিনি ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই। তবে কোথ্থেকে ধোঁকা খেয়ে তোমরা কোথায় ফিরে যাচ্ছ? ….. আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্যে যমীনকে বাসস্থান করেছেন, আসমানের ছাদ ছেয়ে রেখেছেন তোমাদের ওপর, তোমাদের খাদ্যের জন্যে পূত পবিত্র বস্তু সরবরাহ করেছেন। এ আল্লাহই তোমাদের রব। তিনি সারা জাহানের রব, বড়ই বরকতের অধিকারী। তিনি চিরঞ্জীব। তিনি ব্যতীত আর কোন মাবুদ নেই। সুতরাং দীনকে একান্তভাবে তাঁর জন্যে খালেস করে তোমরা সকলে তাঁকেইডাকো।-আল-মুমিন-৬১-৬৫

——————————————- আল্লাহ তোমাদেরকে মাটি থেকে পয়দা করেছেন। …. তিনি রাতকে দিনের মধ্যে প্রবিষ্ট করেন, আর দিনকে করেন রাতের মধ্য। তিনি চন্দ্র -সূর্যকে এমন এক শৃংখলার অধীন করেছেন যে, সকলেই আপন নির্ধারিত সময় পর্যন্ত চলছে। এ আল্লাহই তোমাদের রব। রাজত্ব তাঁরই। তাঁকে ছাড়া আর যাদের তোমরা ডাকো, তাদের হাতে অণুপরিমাণ বস্তুর ইখতিয়ারও নেই। তোমরা ডাকলেই তারা তোমাদের ডাক শুনতে পায় না; আর শুনতে পেলেও তোমাদের দরখাস্তের জবাব দেয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। আর তোমরা যে তাদেরকে আল্লাহর শরীক করছো; তারা কিন্তু কেয়ামতের দিন নিজেরাই তার প্রতিবাদ করবে। -ফাতির-১১-১৪

————————————- আসমানের বাসিন্দা হোক বা যমীনের, সকলেই তাঁর গোলাম, সকলেই তাঁর ফরমানের অনুসারী। …. আল্লাহ তোমাদের নিজেদের মধ্য হতে তোমাদের জন্যে একটি উপমা দিচ্ছেন। আমরা তোমাদেরকে যেসব বস্তু দান করেছি তোমাদের কোন গোলাম কি সেসব জিনিসের মালিকানায় তোমাদের শরীক হতে পারে? এ সকল জিনিসের ভোগ-ব্যবহারে তোমরা আর তোমাদের গোলাম কি সমান? তোমরা কি তাদের তেমনি ভয় করো? যেমন করে থাকো তোমাদের সমস্তরের লোকদের? যারা জ্ঞানযুক্তি ছাড়াই নিজেদের ভিত্তিহীন অনুমানের পেছনে ছুটে চলছে। … সুতরাং তুমি একান্ত নিবিষ্ট চিত্তে সত্যিকার দীনের পথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত-নিয়োজিত করো। আল্লাহর প্রকৃতির ওপর স্থির থাকো, যে প্রকৃতির ওপর তিনি সকল মানুষকেই সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টিতে কোন পরিবর্তন নেই, এটাই সত্য-সঠিক পন্থা, কিন্তু অধিকাংশ লোকই জানে না। -আর-রুম-২৬-৩০

—————————————— আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব-মহত্ত্বের ধারণা যেমন করা উচিত ছিলো, তারা তেমন করে নি। কিয়ামতের দিন তারা দেখবে সম্পূর্ণ পৃথিবী তাঁর -মুঠোর মধ্যে আর আসমান তাঁর হাতে গুটানো পড়ে রয়েছে। তিনি পবিত্র। তাঁর সাথে ওরা যে শরীক করছে তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে। – আয-যুমার-৬৭

————————————- সুতরাং সমস্ত প্রসংসা আল্লাহর জন্যে, যিনি আসমান-যমীন ও বিশ্ব জাহানের রব। আসমান-যমীনে মহত্ত্ব-শ্রেষ্ঠত্ব কেবল তাঁরই। তিনি সকলের ওপর পরাক্রমশালী, মহাকুশলী অতি জ্ঞানী। -জাসিয়া-৩৬-৩৭

——————————————- তিনি আসমান যমীনের মালিক (রব), মালিক সেসব বস্তুর যা আসমান -যমীনে আছে। সুতরাং তুমি তাঁরই বন্দেগী কর আর তাঁর ওপর দৃঢ় থাকো। তোমার জানামতে আর কেউ কি আছে তাঁর মতো? সুরা-মারইয়াম -৬৫

————————————— আসমান-যমীনের সমুদয় গুপ্ততত্ত্ব আল্লার জ্ঞানে রয়েছে। সকল ব্যাপার তাঁর হুজুরেই পেশ হয়। সুতরাং তুমি তাঁরই বন্দেগী কর, তাঁরই ওপর ভরসা করো। -সুরা -হুদ-১২৩

———————————————– তিনি মাশরিক-মাগরিব -প্রাচ্য-প্রতীচ্যের রব। তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। সুতরাং তুমি তাঁকেই তোমার কর্মধারক কর। -মুজ্জাম্মিল-৯

————————————— বস্তুত তোমাদের এ উম্মত একই উম্মত। আর আমি তোমাদের রব। সুতরাং আমারই বন্দেগী করো। লোকেরা রবুবিয়াতের এই কার্য এবং জীবনের কার্যাবলীকে নিজেরাই নিজেদের মধ্যে বন্টন করে নিয়েছে। কিন্তু যা-ই হোক, তাদের সকলকে আমার নিকটেই ফিরে আসতে হবে। -সুরা আন-নিসা-৯৩-৯৬

—————————————- তোমাদের রব-এর পক্ষ থেকে যে কিতাব নাজিল হয়েছে, তোমরা তার অনুসরণ করো। তা ত্যাগ করে অন্য কাউকে কার্যোদ্ধারকারী হিসাবে অনুসরণ করো না। -আল-আ’রাফ-৩

———————————- বল, হে আহলে কিতাব! এমন একটি বিষয়ে অগ্রসর হও, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে সমান। তা এইঃ আমারা আল্লাহ ছাড়া আর কারো বন্দেগী করবো না, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবো না, আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে আমাদের কেউ রব বানাবে না। -আল-ইমান-৬৪

————————— বল, যিনি মানুষের রব, মানুষের বাদশা এবং মানুষের মাবুদ-আমি তাঁর পানাহ চাই। -আননাস-১-৩

——————————- সুতরাং যে ব্যক্তি আপন রব -এর সাক্ষাতের আকাংখী, তার উচিত সৎ কাজ করা এবং আপন রব-এর বন্দেগীতে অন্য কারো বন্দেগীকে শরীক না করা। -আল-কাহাফ- ১১০

এ আয়াতগুলো পর্যায়ক্রমে অধ্যয়ন করলে স্পষ্ট জানা যায় যে, কোরআন রুবুবিয়াতকে সার্বভৌমত্বের সম্পূর্ণ সমার্থক বলে প্রতিপন্ন করছে। আর রব-এর এ ধারণা আমাদের সামনে পেশ করছে যে, তিনি বিশ্ব-জাহানের একচ্ছত্র অধিপতি, নিরংকুশ শাসক এবং লা-শরীক মালিক ও বিচারক।

এ হিসাবে তিনি আমাদের ও সারা জাহানের প্রতিপালক, মুরিব্বী এবং অভাব-অভিযোগ পূরণকারী।

এ হিসাবে তিনি আমাদের তত্ত্ববধায়ক, অভিভাবক, কর্মধারক এবং পৃষ্টপোষক।

এ হিসেবে তাঁর ওফাদারী এমন এক প্রাকৃতিক ভিত্তি, যার ওপর আমাদের সমাজ জীবনের প্রাসাদ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাঁর কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্বের সাথে সংশ্লেষণ সকল বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি এবং দলের মধ্যে এক উম্মতের সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।

এ হিসাবে তিনি আমাদের ও সমগ্র সৃষ্টিকুলের বন্দেগি, আনুগত্য ও অর্চনা পাওয়ার যোগ্য।

এ হিসাবে তিনি আমাদের ও সমুদয় বস্তুর মালিক, মুনিব ও একচ্ছত্র অধিপতি।

আরববাসী ও দুনিয়ার সকল অজ্ঞ-মূর্খ ব্যক্তিরা সকল যুগে এ ভুলে নিমজ্জিত ছিলো এবং বর্তমানে রয়েছে যে, রুবুবিয়তের এ ব্যাপক ধারণাকে তারা পাঁচটি ভিন্ন ধরনের রুবুবিয়াতে বিভক্ত করে ফেলে। নিজেদের ধারণা কল্পনা দ্বারা তারা সিদ্ধান্ত করেছে যে, বিভিন্ন ধরনের রুবুবিয়াত বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে, রবং আছেও। কিন্তু কোরআন স্বীয় বলিষ্ঠ যুক্তি-প্রমাণ দ্বারা প্রতিপন্ন করেছে যে, সার্বভৌম ক্ষমতা যার হাতে ন্যস্ত থাকবে, তিনি ছাড়া রুবুবিয়াতের কোন কর্ম কোনও এক পর্যায়ই অন্য কোন সত্তার হাতে ন্যস্ত হবে- বিশ্বচরাচরের এ পরিপূর্ণ কেন্দ্রীয় ব্যবস্থায় তারা বিন্দুমাত্র অবকাশও নেই। এ ব্যবস্থার কেন্দ্রীকতা নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, সকল প্রকার রুবুবিয়াত এক আল্লাহর জন্যে নিদিষ্ট- বিশেষিত, যিনি এ ব্যবস্থাকে অস্তিত্ব দান করেছেন। সুতরাং এ ব্যবস্থার অধীনে অবস্থান করে যে ব্যক্তি রুবুবিয়াতের কোন অংশও কোন অর্থেই আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো সাথে সম্পৃক্ত বলে মনে করে বা কার্যত সম্পৃক্ত করে, বস্তুত সে ব্যক্তি বাস্তবতার সাথে দ্বন্দ্ব -সংঘর্ঙে লিপ্ত হয়, সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। সত্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং বাস্তবতার বিরুদ্ধে কার্য করে স্বয়ং নিজেকেই ধবংসের মধ্যে নিমজ্জিত করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url