Ad

ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্যে দল গঠন

ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্যে দল গঠন

ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য দরকার একটি আদর্শবাদী মজবুত সংগঠন বা দল।
ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্যে দল গঠন

এ দল এমনিতে গড়ে উঠে না, এ জন্য প্রয়োজন ত্যাগ-তিতিক্ষা, কুরবানী। তেমনি একটি মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত আদর্শবাদী দলের স্থায়িত্বও নির্ভর করে নেতা-কর্মীদের সাহস, ধৈর্য, দূরদর্শিতা, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, শৃঙ্খলা, আনুগত্য ইত্যাদির উপর।

আদর্শবাদীদল

প্রতিষ্ঠিত সমাজ ব্যবস্থা সমূলে উৎপাটিত করে তার স্থলে সম্পূর্ণ ভিন্ন করে এক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হলে একটি আদর্শ বেছে নিতে হয়। এর সাথে পৃথক চিন্তাধারাও থাকে। এ চিন্তা ও আদর্শের সাথে যারা সকল দিক দিয়ে একমত পোষণ করে তারা একটি দল গঠন করে। একে বলা হয় একটি আদর্শবাদী দল। এ দল ইসলামী হতে পারে, ইসলাম বিরোধীও হতে পারে।

সমাজ বিপ্লবের জন্য সংগ্রামের পূর্বে সে আদর্শের ছাঁচে ব্যক্তি গঠন অবশ্যই করতে হয়। এ আদর্শ বাস্তবায়নকে তারা তাদের জীবনের লক্ষ্য ও মিশন হিসেবে গ্রহণ করে এবং তার জন্য তারা অকাতরে জীবন দিতেও প্রস্তুত হয়। প্রতিপক্ষের শত নির্যাতন নিষ্পেষণ তাদেরকে কিছুতেই দমিত করতে পারে না। দলের নেতা ও কর্মীদের হতে হয় নির্ভীক, সাহসী ও ধৈর্যশীল। 

বিশেষ করে নেতাকে হতে হয় গতিশীল, দূরদর্শী, সমসাময়িক সকল সমস্যা সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন এবং চরম সংকট মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। দলের নেতৃত্ব ও নিয়ম শৃঙ্খলার আনুগত্য হবে সকলের জন্য অনিবার্য।
যে কোন আদর্শবাদী দলের মধ্যে উপরোক্ত গুণাবলী অবশ্যই থাকতে হবে। একটি ইসলামী দলের মধ্যে উপরোক্ত গুণাবলী ছাড়াও অতিরিক্ত আরও অনেক গুণাবলীর প্রয়োজন যা আল্লাহ তাদের মধ্যে দেখতে চান।
এ দলের চরম ও পরম লক্ষ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আর তা করতে হলে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস সংগ্রাম করে যেতে হবে। তাই এ দলের একটি ব্যক্তির প্রতিটি কথা ও কাজ এমন হতে হবে যার দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অভিলাষই হবে তাদের সকল কর্মতৎপরতার দিগদর্শী।

 এ দলের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য পরে বর্ণনা করা হবে।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ একটি আদর্শবাদী দল। এ দলের সূচনা হয়েছিল অবিভক্ত ভারতে ১৯৪১ সালে।

দারুল ইসলাম ট্রাস্ট গঠন ও ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্যে দল গঠন

১৯৩৭ সালে আল্লামা ইকবাল হায়দারাবাদ থেকে পাঞ্জাবে হিজরত করার জন্যে মাওলানা মওদূদীকে আহবান জানান। আল্লামা ইকবাল তরজুমানুল কুরআনের মাধ্যমে মাওলানার গুণমুগ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। অসুস্থতা ও শারীরিক দুর্বলতার কারণে তিনি কখনো সাইয়্যেদ নাযীর নিয়াযী এবং কখনো মিয়া মুহাম্মদ শফীকে দিয়ে তরজুমানুল কুরআন পড়াতেন এবং মনোযোগ দিয়ে শুনতেন।

ঠিক এ সময়ে জনৈক অবসরপ্রাপ্ত এসডিও চৌধুরী নিয়ায আলী তাঁর ষাট-সত্তর একর জমি ইসলামের খেদমতের জন্য ওয়াকফ করেছিলেন। সেখানে বিভিন্ন ধরনের পাকা ঘর-বাড়ী তৈরি করে বিশেষ পরিকল্পনার অধীনে দ্বীনের বৃহত্তর খেদমতের অভিলাষী তিনি ছিলেন। এ ব্যাপারে তিনি আল্লামা ইকবালের পরামর্শ চাইলে তিনি একমাত্র মাওলানা মওদূদীকেই এ কাজের জন্য যথাযোগ্য ব্যক্তি মনে করেন। 

মাওলানা মওদূদী ড. ইকবালের অনুরোধে তাঁর সাথে বিস্তারিত আলোচনার পর এ কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করতে রাজী হন এবং চিরদিনের জন্যে হায়দারাবাদ পরিত্যাগ করে ১৯৩৮ সালের ১৬ই মার্চ পূর্ব পাঞ্জাবের পাঠানকোট নামক স্থানে হিজরত করেন। অতঃপর ‘দারুল ইসলাম’ নামে একটা ট্রাস্ট গঠন করে তাঁর মহান কাজের সূচনা করেন।
ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্যে দল গঠন


দারুল ইসলাম ট্রাস্ট গঠনের পর মাওলানা তাঁর জিহাদী প্রেরণাদায়ক ভাষণে বলেনঃ
“এখন সে সময় এসে গেছে যখন আমাদেরকে মুসলমান থাকা না থাকায় চূড়ান্ত ফয়সালা করতে হবে। যদি আমরা মুসলমান থাকতে চাই, তাহলে আমাদেরকে আমাদের আপন পরিবেশ এবং তারপর গোটা দুনিয়াকে দারুল ইসলাম বানাবার সংকল্প নিয়ে ময়দানে নামতে হবে এবং তার জন্যে দেহমন বিলিয়ে দেয়ার পুরোপুরি ঝুঁকি নিতে হবে।

 আমরা যদি এতোটুকু হিম্মৎ ও সাহসিকতা দেখাতে না পারি, তাহলে ইসলাম থেকে চিরদিন দূরে থাকার জন্যে তৈরী থাকা উচিত। কারণ ভারতে ভৌগোলিক জাতীয়তার ভিত্তিতে যে গণতান্ত্রিক ধর্মহীন রাষ্ট্র ব্রিটিশ শাসনের গর্ভ থেকে জন্মলাভ করতে যাচ্ছে এবং সমাজতান্ত্রিক ধ্যান ধারণার স্তন্য পানে বিকশিত হচ্ছে, তা আপন প্রচেষ্টায় কায়েম করা 

অথবা নিষ্ক্রিয় থেকে তার প্রতিষ্ঠা বরদাশত করার পরিণাম এ হতে পারে যে, মুসলমান এক সর্বব্যাপী সংস্কৃতি এ চিন্তাধারার স্রোতে তৃণখন্ডের ন্যায় ভেসে যাবে যা আকীদাহ ও আমল উভয় দিক দিয়ে হবে সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী”।

কতিপয় “উন্মাদের” (দেওয়ানা) প্রয়োজন

 এ সময়ে দুর্দান্ত কুফরী শক্তির প্রভূত্ব কর্তৃত্ব দেখার পর যে ব্যক্তি দারুল ইসলাম কায়েমের জন্য ময়দানে নেমে পড়বে সে অবশ্যই ‘দেওয়ানা’
(উন্মাদ) এবং আগুন নিয়ে খেলতে চায়। বিশ্বাস করুন, বাজি; প্রায় হেরে গেছি এবং ময়দান হাত ছাড়া হয়ে গেছে। এ অবস্থায় মুকাবেলার জন্য দাঁড়ানো উন্মাদেরই কাজ। এমন উন্মাদ, যে জেনে-বুঝে আগুনে ঝাঁপ দিতে প্রস্তুত।

এখনো ভালো করে জেনে বুঝে রাখুন যে, এর পরিণাম হবে প্রকৃতপক্ষে এই যে, যমীন ও আসমানের প্রতিটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তু আপনাদের দুশমন হয়ে পড়বে এবং সকল কুফরী শক্তি ও আপনাদের কওমের মুনাফেকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনাদের নিষ্পেষিত করার চেষ্টা করবে। কারণ তাদের পরস্পরের মধ্যে যতোই মতবিরোধ থাকনা কেন, দারুল ইসলাম শব্দটি তাদের নিকটে সমান চ্যালেঞ্জ এবং এ ধ্যান ধারণা তারা কেউই বরদাশত করতে পারে না। 

এসব ভালো করে জেনে বুঝে আপন মনের পর্যালোচনা করে দেখুন যে, তার মধ্যে মুসলমান থাকার জযবা এ উন্মাদনার পর্যায়ে পৌঁছেছে কিনা, তারপর দেখুন যে, যে জিনিস প্রকাশ্য অসম্ভব বলে দেখা যাচ্ছে এবং যা লাভ করার চেষ্টায় জান ও মালের বিপুল ক্ষতি সুনিশ্চিত, তারপরও তা কুরবানী করতে প্রস্তুত কিনা।

যাদের মধ্যে এ উন্মাদনা বিদ্যমান এবং যারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের পথে ব্যর্থতাসহ মৃত্যুবরণ করাকে দুনিয়াবী সাফল্যের উপর অগ্রাধিকার দিতে প্রস্তুত আমাদের প্রয়োজন শুধু তাদের এবং তারাই দারুল ইসলাম আন্দোলন পরিচালনা করতে সক্ষম।

দারুল ইসলামী ট্রাস্ট ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্যে দল গঠনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে থাকে এবং ১৯৪১ সালের আগস্ট মাসে মাওলানার কথিত পঁচাত্তর জন ‘উন্মাদ’কে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়। কালক্রমে এ জামায়াতের উত্তরসূরী জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।

এ দলের পরিচয় দিতে গিয়ে এর প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী (রহ.) বলেন-
“এ দলের সদস্যদেরকে ঈমানের দিক দিয়ে সুদৃঢ় ও অবিচল হতে হবে এবং আমলের দিক দিয়ে হতে হবে প্রশংসনীয় ও উচ্চমানের। কারণ তাদেরকে সভ্যতা সংস্কৃতির ভ্রান্ত ব্যবস্থা ও রাজনীতির বিরুদ্ধে কার্যতঃ বিদ্রোহ ঘোষণা করতে হবে এবং এ পথে আর্থিক কুরবানী থেকে শুরু করে কারাদণ্ড এমন কি ফাঁসিরও ঝুঁকি নিতে হতে পারে”।

দাওয়াত ও তবলিগ এবং তরবিয়তি নিজাম

একটি ইসলামী দলের সর্বপ্রথম কাজই হচ্ছে মানুষের সামনে ইসলামের দাওয়াত পরিবেশন করা। পেশ করতে হবে বুদ্ধিমত্তাসহ হৃদয়গ্রাহী ভাষায়। আল্লাহর সকল নবী এ কাজ আনজাম দিয়েছেন।
দাওয়াতী কাজের দুটি সুফল যদি তা সঠিকভাবে করা যায়।
ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্যে দল গঠন

এক. সঠিক দাওয়াত দানের মাধ্যমে যতো বেশী লোককে আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করা যাবে, ততোবেশী ইসলামের স্বপক্ষে জনমত সৃষ্টি হবে। ইসলামী বিপ্লবের জন্য জনমত সৃষ্টি অপরিহার্য।
দুই, যিনি দাওয়াত পেশ করবেন, তাকে অবশ্যই ইসলামের মডেল হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হয়। ফলে তার পক্ষে ইসলামের অনুশাসন মেনে চলার প্রেরণা সৃষ্টি হয়।

একটি ইসলামী দলের দাওয়াতী কাজ বন্ধ হয়ে গেলে তা একটা প্রাণহীন ও অর্থহীন সংগঠনে পরিণত হয়। দলের প্রতিটি ব্যক্তি নিয়মিত দাওয়াতী কাজ করছেন কি না তার ভালোভাবে তদারকি হওয়া দরকার।

তরবিয়তি নিজাম

দাওয়াত দাতার মধ্যে যেসব যোগ্যতা ও গুণাবলীর প্রয়োজন, তা অর্জন করার জন্য তরবিয়তি নিজাম বা প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা অবশ্যই থাকা দরকার। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে তা আছে। তা ফলপ্রসূ হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত।
মাওলানা মওদূদী বিভিন্ন সময়ে কর্মী ও রুকনদের বিভিন্ন সমাবেশে তরবিয়ত ও তাযকিয়া সম্পর্কে যে মূল্যবান ভাষণ দিয়েছেন তার কিছু এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে।

মাওলানা কর্মীদের জন্য এটা অতি আবশ্যক বলে গণ্য করেন যে, তাদেরকে প্রথমতঃ চারটি গুণের অধিকারী হতে হবে।
১। ইসলামের সঠিক উপলদ্ধি,
২। ইসলামের উপর পাকাপোক্ত ঈমান,
৩। কথা ও কাজের মধ্যে পূর্ণ সামঞ্জস্য,
৪। দীনকে জীবনের উদ্দেশ্য হিসাবে গ্রহণ।

কর্মীদের মধ্যে সামাজিকভাবে যে সব গুণাবলীর প্রয়োজন তা হলোঃ
১। ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসা,
২। পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করা,
৩। নিয়ম-শৃঙ্খলা পুরোপুরি মেনে চলা,
৪। সংশোধনের নিয়তে সমালোচনা করা।

পূর্ণতাদানকারী গুণাবলী যা সাফল্যের চাবিকাঠিঃ
১। আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্ক ও তাঁর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা।
২। আখিরাতের জবাবদিহিকে স্মরণ রাখা।
৩। চরিত্র মাধুর্য।
৪। ধৈর্য।
৫। প্রজ্ঞা।

তরবিয়ত ও তাযকিয়া বিষয়ক নিম্নলিখিত সাহিত্যগুলো কর্মীদের অধ্যয়ন করা উচিতঃ
১। তাহরিক আওর কারকুন- মাওলানা মওদূদী।
২। ইন্তেখাব ও তারতীব- মাওঃ খলিল আহমদ হামিদী।
(এ গ্রন্থ বিভিন্ন সময়ে মাওলানা মওদূদীর প্রদত্ত ভাষণের সংকলন)
৩। তা’মীর সীরাত কে লাওয়াযেম- নঈম সিদ্দিকী
৪। তাযকিয়ায়ে নফস – মাওঃ আমীন আহসান ইসলাহী।
৫। ইসলাম আপসে কিয়া চাহতা হ্যায়- সাইয়েদ হামেদ আলী
৬। আপনি ইসলাহ আপ – নঈম সিদ্দিকী
৭। ইসলাম এক নিযামি তরবিয়াত – মাওঃ ইনআমুর রহমান খান।
৮। তাহরিকে ইসলামী মে- খুররম মুরাদ।
৯। বাহামী তায়াল্লুকাত – খুররম মুরাদ।

প্রথম ও অষ্টম বইখানির বাংলা অনুবাদ হয়েছে। বাকীগুলোও কর্মীদের পাঠ্য তালিকায় থাকা উচিত। অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরগুলোতে কর্মীদের মধ্যে এ সবের বাস্তব প্রতিফলনের অনুশীলন হওয়া উচিত।
অত্র প্রবন্ধে যা কিছু বলা হলোঃ তা একটি আদর্শবাদী ইসলামী আন্দোলনকে তার সম্ভাব্য বিকৃতি ও পতন থেকে রক্ষা করার জন্য কিছু পরামর্শ। 

অতীতে যে সব কারণে এ ধরণের দলের পতন হয়েছে তার অভিজ্ঞতার আলোকে এ পরামর্শ পেশ করা হয়েছে। পতনের অন্যতম কারণ হলো নিয়মিত দীনি সাহিত্য পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যাওয়া। তাফহীমুল কুরআন, সীরাতে সরওয়ারে আলম, রাসায়েল ও মাসায়েল এবং মাওলানা মওদূদীর সাহিত্যাবলী পাঠের অভাবে চিন্তার ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়, 

জনশক্তির মধ্যে ঐক্যের অভাব ঘটে, নৈরাশ্য, অবসাদ, ক্লান্তি, আন্দোলন বিমুখতা ও নিষ্ক্রিয়তা এসে যায়। পড়াশুনা বন্ধ হলেই এমনটি হয়ে থাকে। আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলনে শরীক সকলকে সিরাতুল মুসতাকীমে অটল থেকে সঠিকভাবে নিজ দায়িত্ব পালনের তওফীক আল্লাহ তায়ালা দান করুন, আমীন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url